‘ছুটি নয়’: Gautam Gambhir ভাঙলেন চুপ্পি, কঠোর বিসিসিআই নীতিকে কটাক্ষ করেছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা

Gautam Gambhir এমন একটি বিষয়ে কথা বলেছিলেন, যা অনেক ভারতীয় খেলোয়াড়ের, বিশেষ করে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার কাছে ভালোভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না।

Table of Contents

• খেলোয়াড়দের পরিবার-সংক্রান্ত নীতিতে বিতর্ক, Gautam Gambhir দিলেন ব্যাখ্যা

• ভ্রমণে পরিবারের সঙ্গে থাকা নিয়ে বিরাট কোহলি যা বলেছিলেন

খেলোয়াড়দের পরিবার-সংক্রান্ত নীতিতে বিতর্ক, Gautam Gambhir দিলেন ব্যাখ্যা

Gautam Gambhir কোচ হিসেবে শেষ টেস্ট সিরিজ ছিল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে, যেখানে ভারত ১-৩ ব্যবধানে সিরিজ হেরে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি হারায়। এর পরপরই ভারতীয় ড্রেসিংরুমে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। ব্যক্তিগত কথোপকথন ফাঁস হওয়া থেকে শুরু করে কঠোর নিয়ম প্রয়োগ পর্যন্ত বিসিসিআই ১০ দফা নির্দেশিকা জারি করে। এসবের মধ্যে খেলোয়াড়দের দলের সঙ্গে না যাওয়া, অতিরিক্ত ব্যাগেজ ও ব্যক্তিগত স্টাফ নিয়ন্ত্রণ এবং ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার বাধ্যবাধকতা অন্যতম ছিল।

এর ফলস্বরূপ, বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার মতো সিনিয়র খেলোয়াড়রাও দীর্ঘদিন পর দিল্লি ও মুম্বাইয়ের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে নামেন। তবে সবচেয়ে বিতর্কিত ছিল পরিবারকে সফরে সঙ্গে রাখার নিয়ম। বিসিসিআই নির্দেশ দেয়, খেলোয়াড়রা তাদের পরিবারকে (স্ত্রী/সন্তান) সঙ্গে রাখতে পারবেন শুধুমাত্র ৪৫ দিনের বেশি দীর্ঘ সফরে। এছাড়াও, তারা দলীয় হোটেলে পরিবারের সঙ্গে থাকা বা ছেড়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

এই সিদ্ধান্তে অনেক খেলোয়াড় অসন্তুষ্ট ছিলেন বলে খবর। এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার সময় রোহিত শর্মা অনিচ্ছাকৃতভাবে জানিয়ে ফেলেন, “এবার তো আরও এক-দেড় ঘণ্টা বসতে হবে। সেক্রেটারির সঙ্গে বসে এই ফ্যামিলি-ভ্যামিলি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। সবাই আমাকে বলছে…” – এই কথোপকথন জাতীয় নির্বাচক অজিত আগারকরের সঙ্গে চলছিল, যা মাইকে ধরা পড়ে।

Gautam Gambhir, যাকে অনেকেই এই নীতির মূল দায়ী হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন, এবার মুখ খুললেন। লর্ডস টেস্টের আগে সনি স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চেতেশ্বর পূজারাকে তিনি বলেন:

“পরিবার অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু একটা বিষয় বুঝতে হবে – আপনি এখানে একটা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছেন, এটা ছুটি কাটানোর জায়গা না। খুব অল্প কয়েকজনই এই সুযোগ পায় দেশের হয়ে গর্বিত কিছু করার। আমি পরিবারকে সফরে নিষিদ্ধ করার পক্ষপাতী নই, কিন্তু ব্যালান্সটা গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি আরও বলেন, “যদি আপনার লক্ষ্য দেশকে গর্বিত করা হয়, এবং আপনি সেই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন, তাহলে সবকিছুই ঠিক আছে। কিন্তু আমার কাছে সেই লক্ষ্যটাই সবচেয়ে বড় – সেটাই আসল।”

ভ্রমণে পরিবারের সঙ্গে থাকা নিয়ে বিরাট কোহলি যা বলেছিলেন

এই নীতিমালাটি বিরাট কোহলিকেও সন্তুষ্ট করতে পারেনি। আইপিএলের সময়, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) ইনোভেশন ল্যাব ইন্ডিয়ান স্পোর্টস সামিট-এ কোহলি বলেছিলেন:

“মানুষকে বোঝানো খুব কঠিন যে, যখন বাইরের জগতে কিছু তীব্র বা মানসিকভাবে চাপের কিছু ঘটে, তখন পরিবারে ফিরে আসাটা কতটা স্বস্তিদায়ক। আমি মনে করি না বেশিরভাগ মানুষ এর প্রকৃত মূল্য বুঝতে পারেন। এটা নিয়ে আমি সত্যিই হতাশ, কারণ যেসব মানুষ আসলে কোনও কিছুর ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখেন না, তাঁদের এইসব আলোচনায় টেনে এনে সামনে রাখা হয় এই বলে যে, ‘ওদের হয়তো দূরে রাখা উচিত’।”

এই মন্তব্যে স্পষ্ট ছিল, কোহলিও মনে করেন পরিবার থেকে দূরে থাকার চাপ একজন পেশাদার খেলোয়াড়ের জন্য সহজ নয়, বিশেষ করে টানা সফরের মধ্যে।

Sign Up Fast For E2Bet And Enjoy A Free Bonus On Your First Registration!

• How To Get Free Bonus On E2Bet

• What is E2bet