বিসিসিআই ও আইসিসির জন্য বড় ধাক্কা! কর্ণাটক সরকার এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ২০২৫ নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে।

orangeevaorangeeva
3 min read

আইসিসি মহিলা Cricket বিশ্বকাপ ২০২৫ শুরু হবে ৩০শে সেপ্টেম্বর। সর্বশেষ ঘটনার অগ্রগতিতে, ইন্ডিয়া টুডে-এর এক প্রতিবেদনে জানা গেছে যে কর্ণাটক সরকার বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আইসিসি মহিলা Cricket বিশ্বকাপ ২০২৫-এর ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি দেয়নি।

এটি আন্তর্জাতিক Cricket কাউন্সিল (আইসিসি) এবং ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) জন্য একটি বড় ধাক্কা, কারণ তাদের হঠাৎ করে ভেন্যু পরিবর্তন করতে হবে। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম আইপিএল ২০২৫ শেষ হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক তদন্তের আওতায় ছিল।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) আইপিএল ২০২৫-এ শিরোপা জয়ের পর বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এক জাঁকজমকপূর্ণ বিজয় শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল। দলের এই ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপন করতে হাজার হাজার সমর্থক ভিড় জমায়। শুরুতে উৎসবের আমেজ থাকলেও, মুহূর্তের মধ্যে আনন্দঘন পরিবেশ ভয়াবহতায় পরিণত হয়। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে প্রচণ্ড ধাক্কাধাক্কি ও বিশৃঙ্খলা শুরু হয়, যা শেষ পর্যন্ত মর্মান্তিক পদদলিত ঘটনার জন্ম দেয়।

এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান, আর গুরুতর ও হালকা মিলিয়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। শহরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, আরসিবি কর্তৃপক্ষ গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরপর ওই ভেন্যুকে যেকোনো Cricket ম্যাচ আয়োজনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এমনকি মহারাজা কাপ টি-২০ টুর্নামেন্টও বেঙ্গালুরু থেকে মাইসুরুতে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ) আইসিসি মহিলা Cricket বিশ্বকাপ ২০২৫-এর ম্যাচ আয়োজনের অনুমতির জন্য আবেদন জানায়।

Cricket: কেএসসিএ সরকারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট

Cricket World Cup 2025

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কেএসসিএ সরকারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট, কারণ তারা সফলভাবে ৭৫০টিরও বেশি ম্যাচ এবং প্রায় ১৫টি আইপিএল মৌসুম আয়োজন করেছে। কেএসসিএ জানিয়েছে, তারা দর্শক ছাড়া ম্যাচ আয়োজনের অনুরোধ করেছিল, কিন্তু তাদের আবেদন উপেক্ষা করা হয়েছে।

আইসিসি মহিলা Cricket বিশ্বকাপ ২০২৫-এর সময়সূচি অনুযায়ী, এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে চারটি ম্যাচ ও ফাইনাল (যদি পাকিস্তান যোগ্যতা অর্জন না করে) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ভেন্যুটি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল।

ভেন্যুটি শুরু থেকেই চলতি টুর্নামেন্টের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে চিহ্নিত ছিল। আয়োজক কমিটি যখন ম্যাচগুলোর সূচি চূড়ান্ত করেছিল, তখনই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচটি এখানেই অনুষ্ঠিত হবে। সেই ম্যাচে মুখোমুখি হতো দুই এশীয় ক্রিকেট পরাশক্তি—ভারত ও শ্রীলঙ্কা। উদ্বোধনী ম্যাচ বললেই বোঝা যায়, এটি কেবল একটি খেলা নয়; বরং গোটা প্রতিযোগিতার আবহ তৈরি করে দেওয়ার অন্যতম বড় অনুষ্ঠান। স্টেডিয়াম ও শহরের মানুষের কাছে তাই এই ম্যাচটির আলাদা গুরুত্ব ছিল।

তবে শুধুমাত্র উদ্বোধনী ম্যাচই নয়, আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খেলার দায়িত্বও এই ভেন্যুকে দেওয়া হয়েছিল। ৪ অক্টোবর এখানে ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ নির্ধারিত ছিল। দুই দলের ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং বর্তমান সময়ে তাদের ফর্ম বিবেচনা করলে, এই ম্যাচটি ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছিল। ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং লাইনআপ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী পেস আক্রমণ—এমন লড়াই দেখার জন্য দর্শকেরা দিন গুনছিলেন।

এছাড়াও ২৬ অক্টোবর এখানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ভারত বনাম বাংলাদেশের ম্যাচ, যা টুর্নামেন্টের শেষ লিগ ম্যাচ হিসেবে সূচিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ হওয়ায়, এটি পয়েন্ট টেবিলের চূড়ান্ত চিত্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারত। ভারত ও বাংলাদেশ—দুই দলের মধ্যেই আছে অনিশ্চয়তার রোমাঞ্চ, বিশেষ করে বড় টুর্নামেন্টে। তাই এই ম্যাচটিকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ৩০ অক্টোবরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালও এই ভেন্যুতেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেমিফাইনাল মানে নকআউট ধাপে প্রবেশ, যেখানে একটি হারেই শেষ হয়ে যেতে পারে পুরো স্বপ্নযাত্রা। ফলে এই ম্যাচে উত্তেজনা, চাপ ও দর্শক উপস্থিতি—সবকিছুই থাকত চরম পর্যায়ে। যে দলই হোক না কেন, তারা এখানে এসে ফাইনালে ওঠার জন্য নিজেদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করত।

এইভাবে দেখা যায়, পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ভেন্যুটির গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে লিগ পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এবং সেমিফাইনালের মতো উচ্চঝুঁকির ম্যাচ—সবই এখানে আয়োজিত হওয়ার পরিকল্পনা ছিল। শুধু ম্যাচ নয়, শহরের অর্থনীতি, পর্যটন, এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিতেও এর প্রভাব পড়ত। ভক্ত, সাংবাদিক, সম্প্রচারকারী এবং পর্যটকদের ভিড়ে গোটা শহর রঙিন হয়ে উঠত। সবমিলিয়ে, এই ভেন্যুটি কেবল ক্রিকেট ম্যাচের স্থান নয়, বরং টুর্নামেন্টের প্রাণকেন্দ্র হিসেবেই বিবেচিত হওয়ার মতো ছিল।

Sign Up Fast For E2bet And Enjoy A Free Bonus On Your First Registration

0
Subscribe to my newsletter

Read articles from orangeeva directly inside your inbox. Subscribe to the newsletter, and don't miss out.

Written by

orangeeva
orangeeva